রন্ধনপ্রণালী:মিছরি
ইংরেজিতে রক ক্যান্ডি, রকবসুগার অথবা ক্রিস্টাল সুগার বলে আমরা যা জানি তা মূলত বাংলায় মিছরি বলে পরিচিত। এটি একটি মিষ্টি জাতীয় স্বচ্ছ দানাদার খাদ্যদ্রব্য। আখের রস বা তালের রস থেকে মূলত এটি তৈরি করা হয়। প্রধানত চিনি দিয়ে তৈরি করা হয় বলে এটি সাধারণ লালাভ সাদা রঙের হয়ে থাকে। হাইড্রোজ নামক রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে একে ফকফকা সাদা করা হয়। এছাড়া অন্য রঙ মিশিয়েও একে রঙিন করা যায়।
তাল মিছরি গলার কাশির জন্য বেশ উপকারি। এছাড়াও এনিমিয়া, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ, মুখের আলসার, স্মৃতিশক্তি বাড়ানো ইত্যাদি কাজের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।
উপকরণ:
সম্পাদনামিছরি পাতা - ১ কাপ (কুঁচি করে কাটা) পেঁয়াজ কুঁচি - ১/২ কাপ রসুন কুঁচি - ১ টেবিল চামচ আদা বাটা - ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ লবণ - স্বাদ অনুযায়ী তেল - ২ টেবিল চামচ পানি - 1 কাপ ধনেপাতা কুঁচি - সাজানোর জন্য
প্রণালী:
সম্পাদনাএকটি কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি বাদামী করে ভেজে নিন। রসুন কুঁচি, আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো এবং ধনে গুঁড়ো যোগ করে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। মিছরি পাতা কুঁচি এবং লবণ যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে নিন। পানি দিয়ে ঢেকে দিন এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট রান্না করুন। পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন। ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
পরিবেশন:
সম্পাদনাগরম ভাতের সাথে মিছরি পরিবেশন করুন।
টিপস:
সম্পাদনামিছরি পাতাটি আরও সুস্বাদু করতে, আপনি এতে কাঁচা মরিচ কুঁচি, টমেটো কুঁচি, বা আলু দিতে পারেন। আপনি যদি চান তবে মিছরি নারকেল কোরাও যোগ করতে পারেন। মিছরি ঠান্ডা করেও খাওয়া যায়।
আরও তথ্য:
সম্পাদনামিছরি পাতা একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু শাক। এটি ভিটামিন এ, সি এবং কে এর একটি ভাল উৎস। মিছরি পাতা হজমশক্তি উন্নত করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং ত্বকের জন্য ভালো।
উপসংহার:
সম্পাদনামিছরি তৈরি করা একটি সহজ এবং দ্রুত প্রক্রিয়া। এটি একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার যা গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করা যায়।