রন্ধনপ্রণালী:মুগ ডালের খিচুড়ি

মুগ ডালের খিচুড়ি
পরিবেশন ৩-৫ জন
তৈরির সময় ২০-৩০ মিনিট
কষ্টসাধ্য

রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ

মুগ ডালের খিচুড়ি

মুগ ডালের খিচুড়ি সাধারনত পূজোতে ঠাকুরের ভোগে দেওয়া হয়। এছাড়া বর্ষাকালে গরম গরম মুগ ডালের খিচুড়ি প্রধান খাবার হিসেবে ও দারুন লাগে খেতে।

নাম উপকরণ
গোবিন্দ ভোগ চাল ২ কাপ
মুগ ডাল ২ কাপ
লবণ প্রয়োজন মত
হলুদ গুঁড়ো প্রয়োজন মত
জল পরিমাণমতো
গরম মশলা ১/৪ চা-চামচ
সরষের তেল ৪ চা চামচ
কাঁচা লংকা চিড়ে ২টা প্রয়োজন মত
আদা বাটা ৩ চা চামচ
জিরের গুঁড়ো ৩ চা চামচ
গোটা জিরে ১/২ চা চামচ
নারকেল কোড়া ১/২ মালা
ঘি ১ চা চামচ
ধনে-জিরের ভাজা মশলা ১/২ চা চামচ
চিনি ১/৪ চা চামচ

রন্ধনপ্রণালী

সম্পাদনা
  1. গ্যাসের একটা উনুনে প্রথমে কড়াই গরম হলে শুকনো কড়াইতে মুগ ডাল হালকা লাল করে ভেজে নিয়ে একটা পাত্রে ঢেলে রাখব। জিরের গুঁড়ো সামান্য জল দিয়ে মেখে ভিজিয়ে রাখব।
  2. কড়াইতে ২ চা চামচ তেল দিয়ে গরম হলে নারকেলের কোড়া হাল্কা করে ভেজে একটা পাত্রে তুলে রাখব।
  3. এরপর কড়াইতে ২ চা চামচ তেল দিয়ে ১/২ চা চামচ গোটা জিরে দিয়ে একটু নেড়ে নিয়ে তাতে আদা বাটা,ভিজিয়ে রাখা জিরের গুঁড়ো,কাঁচা লংকা চিড়ে, হলুদ গুঁড়ো, লবণ দিয়ে অল্প সময় নেড়েচেড়ে তাতে ভাজা নারকেল কোড়া দিয়ে একটু নেড়ে রেখে দেব।
  4. গ্যাসের অন্য একটা উনুনে হাঁড়ি বসিয়ে তাতে পরিমান মত জল দেব। জল গরম হলে ভাজা মুগ ডাল ধুয়ে তাতে দিয়ে দেব। এরপর গোবিন্দ ভোগ চাল ধুয়ে তার মধ্যে দিয়ে দেব।
  5. চাল ও ডালের মিশ্রণটি ফুটে উঠলে ৫-৭ মিনিট পর কড়াইতে রাখা মিশ্রণটি হাঁড়িতে ঢেলে দেব।
  6. এবারে চাল ও ডাল সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত মিশ্রণটিকে ফুটতে দিতে হবে।
  7. সেদ্ধ হয়ে গেলে চিনি দিতে হবে এবং এমন পরিমান জল রাখতে হবে যেন রান্নাটা একটু মাখা মাখা হয়।
  8. নামাবার আগে গরম মশলা,ঘি, ধনে-জিরের ভাজা মশলা দিয়ে ৫মিনিট ঢেকে রাখব। গ্যাস নিবিয়ে দেব।
এবারে বিভিন্ন রকমের ভাজা সহকারে ঠাকুরের ভোগ প্রস্তুত ।