রন্ধনপ্রণালী:শিমের চচ্চড়ি

শিমের চচ্চড়ি
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ	শাকসবজি
পরিবেশন	৪-৫ জন
খাদ্য শক্তি	৭০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম)
তৈরির সময়	৩০ মিনিট
কষ্টসাধ্য
টীকা	কাসুন্দি বা সর্ষে বাটা যোগ করা যেতে পারে

রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ

শিমের চচ্চড়ি

শিমের চচ্চড়ি একটি জনপ্রিয় বাঙালি শাকসবজি তরকারি যা বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে প্রচলিত। এটি শিম, আলু, এবং অন্যান্য মশলা দিয়ে তৈরি করা হয়। শিমের চচ্চড়ি তার সহজ প্রস্তুতি এবং পুষ্টিগুণের জন্য বিখ্যাত।

ইতিহাস

শিমের চচ্চড়ি বাঙালি পরিবারের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি সাধারণ পদ। এটি শাকসবজির স্বাস্থ্যগুণ এবং সহজলভ্যতা নিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

উপকরণ

নাম	উপকরণ
শিম	২৫০ গ্রাম (কাটা)
আলু	২ টি (কিউব করে কাটা)
পেঁয়াজ কুচি	১ কাপ
রসুন বাটা	১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া	১/২ চা চামচ
লাল মরিচ গুঁড়া	১/২ চা চামচ
সর্ষে বাটা	২ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
তেল	পরিমাণমতো (রান্নার জন্য)
লবণ	স্বাদমতো
কাঁচা মরিচ	২-৩ টি (আড়াআড়ি কাটা)

প্রস্তুত প্রণালী

তেল গরম করা: প্রথমে প্যানে তেল গরম করতে হবে।
পেঁয়াজ ভাজা: তেলে পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা দিয়ে ভালভাবে ভাজতে হবে যতক্ষণ না পেঁয়াজ সোনালি হয়ে আসে।
মশলা যোগ করা: প্যানে হলুদ গুঁড়া, লাল মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালভাবে কষাতে হবে।
আলু ও শিম যোগ করা: মশলা কষানো হলে কাটা আলু ও শিম দিয়ে ভালভাবে মেশাতে হবে।
সর্ষে বাটা যোগ করা (ঐচ্ছিক): যদি সর্ষে বাটা ব্যবহার করেন, এই সময়ে তা মিশিয়ে দিতে হবে।
পানি যোগ করা: পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে যতক্ষণ না শাকসবজি সিদ্ধ হয়ে যায় এবং তরকারি ঘন হয়।
কাঁচা মরিচ যোগ করা: রান্না শেষের দিকে কাঁচা মরিচ দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট রান্না করতে হবে।

পরিবেশন

শিমের চচ্চড়ি সাধারণত গরম গরম পরিবেশন করা হয়। এটি সাদাভাত বা রুটির সাথে খাওয়া যেতে পারে। শিমের চচ্চড়ি পরিবেশন করার আগে উপরে কিছু ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন।

পুষ্টিগুণ

শিমের চচ্চড়ি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।

প্রাসঙ্গিক তথ্য

শিমের চচ্চড়ির স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে বাড়িতে তৈরি সর্ষে বাটা ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিভিন্ন স্বাদে শিমের চচ্চড়ি তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার মশলা বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।