রন্ধনপ্রণালী:সকালের নাস্তা

  1. দুই রকমের ফ্রেঞ্চ টোস্ট
    বোম্বাই টোস্ট বলুন কিংবা ফ্রেঞ্চ টোস্ট, ডিম আর পাউরুটি দিয়ে নাস্তা করতে চাইলে এর চাইতে সেরা উপায় আর হয় না। মিষ্টি ফ্রেঞ্চ টোস্ট খেতে চাইলে ডিমকে দুধ ও চিনি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই মিশ্রণে পাউরুটি ডুবিয়ে মাখন বা ঘি দিয়ে ভেজে নিন। ফল, সিরাপ ও ক্রিমের সাথে পরিবেশন করুন। আর ঝাল খেতে চাইলে ডিমের সাথে দুধ, কাঁচামরিচ-পেঁয়াজ, চাট মশলা ও মরিচের গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর তৈরি করে নিন ফ্রেঞ্চ টোস্ট।
  2. চটপট ডিমের হালুয়া
    ডিমকে ফেটে নিন দুধ ও চিনি দিয়ে। কড়াইতে ঘি দিয়ে দারুচিনি ও এলাচ দিন। এর মাঝে ডিমের মিশ্রণ দিয়ে নাড়তে থাকুন অনবরত। নাড়তে নাড়তেই জমাট বেঁধে ঝুরি ঝুরি হয়ে যাবে ডিম। আপনি চাইলে নরম বা শক্ত, আপনার ইচ্ছা মত রাখতে পারেন হালুয়ার ধরণ। বাচ্চারা এই খাবার খুব শখ করে খাবে। পরিবেশন করুন রুটি, পরোটা , নান কিংবা এমনিতেই।
  3. দুটি স্বাদের স্যান্ডউইচ
    ডিম সিদ্ধ করে নিন। একে মেয়নিজ ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে মাখিয়ে ভরে নিন দুই টুকরো পাউরুটির মাঝে। ব্যস, তৈরি আপনার স্যান্ডউইচ। আরও ভিন্নতা চাইলে ডিম ভাজি করে নিন। রুটির মাঝে মেয়নিজ মাখিয়ে ডিম দিন। টমেটো সস দিয়ে শসা, টমেটো ইত্যাদি দিন। ব্যস, তৈরি আরেকটি স্যান্ডউইচ। চাইলে যোগ করতে পারেন চীজও।
  4. হরেক রকম অমলেট
    একই অমলেট খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গেছেন? একেকদিন তৈরি করুন একেক স্বাদের অমলেট। স্বাদ বাড়াতে সাধারণ ডিম ভাজাতেই যোগ করুন টমেটো, ধনে পাতা ও চাট মশলা। এগ ফ্রিটাটা তৈরি করতে চাইলে ডিম ফেটিয়ে প্যানে ছড়িয়ে দিন সমান করে। এর ওপরে দিয়ে দিন মাংস, সসেজ, ক্যাপ্সিকাম, মাশরুম ইত্যাদি টপিং। অল্প আঁচে ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। জমাট কেকের মত হলে নামিয়ে নিন। আবার চীজ অমলেট করতে চাইলে প্যানে ফেটানো ডিম দিয়ে দিন। এর ওপরে চীজ ছড়িয়ে দিন। নিচের অংশ রান্না হলে মাঝ থেকে দুটি ভাঁজ করে দিন। ভালো করে ভেজে নামিয়ে নিন।
  5. রুটি-পরোটার সাথে মজাদার ডিম ঝুরি
    ভাজির বদলে এই খাবারটি বেশ চলবে রুটি পরোটার সাথে। ডিম ফেটিয়ে ঝুরি করে রাখুন। এবার তেলের মাঝে পিঁয়াজ ও লবণ দিয়ে ভাজুন। পিঁয়াজ একটু নরম হলে হলুদ, মরিচ ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে দিন। অল্প পানি দিয়ে মশলা কষান। সামান্য টমেটো সস দিন। মশলা কষে গেলে ডিম ঝুরি ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে দিন। কাঁচামরিচ দিন। মাখা মাখা ভাজা হলে নামিয়ে নিন।

http://bangla.amitumi.com/