সংস্কৃত ভাষা/বর্ণমালা ও উচ্চারণ

স্বরবর্ণ সম্পাদনা

অ अ
আ आ
ই इ
ঈ ई
উ उ
ঊ ऊ
ঋ ऋ
ৠ ॠ
ঌ लृ
এ ए
ঐ ऐ
ঔ औ

সংস্কৃত বর্ণমালার স্বরবর্ণের চিহ্ন ও তাদের প্রয়োগ


का कि की कु कू कृ के कै को कौ

কা কি কী কু কূ কৃ কে কৈ কো কৌ

ব্যঞ্জনবর্ণ সম্পাদনা

ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ

क ख ग घ ङ च छ ज झ ञ ट ठ ड ढ ण

ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম য র ল ব

त थ द ध न प फ ब भ म य र ल व

শ ষ স হ ড় ঢ় য ঽ ং ঁঁ ঃ

श ष स ह ड़ ढ़ य ऽ ं ঁ ः সংস্কৃত বর্ণমালা – ব্যঞ্জনবর্ণ বর্গ ক-বর্গ ক্, খ্, গ্, ঘ্, ঙ্ क्, ख्, ग्, घ्, ङ्

চ-বর্গ	 চ্, ছ্, জ্, ঝ্, ঞ্	च्, छ्, ज्, झ्, ञ्
ট-বর্গ	 ট্, ঠ্, ড্, ঢ্, ণ্	ट्, ठ्, ड्, ढ्, ण्
ত-বর্গ	 ত্, থ্, দ্, ধ্, ন্	त्, थ्, द्, ध्, न्
প-বর্গ	 প্, ফ্, ব্, ভ্, ম্	प्, फ्, ब्, भ्, म्
অন্তঃস্থ বর্ণ	 য্, র্, ল্, ব্	य्, र्, ल्, व्,
উষ্ম বর্ণ	 শ্, ষ্, স্, হ্	श्, ष्, स्, ह्

অযোগবাহ বর্ণ ং, ঃ ं, ः

সংস্কৃত বর্ণমালায় ড়, ঢ়, য়, ৎ এই বর্ণগুলি নেই । কিন্তু এদের ব্যাবহার আছে ।
সংস্কৃত বর্ণমালায়  ड, ढ, य, त् এই বর্ণগুলিই উপরের বর্ণগুলিতে ব্যবহৃত হয় ।
যেমন - आषाढ: (আষাঢ়ঃ), नयन: (নয়নঃ), उत्सव: (উৎসবঃ) ।

যুক্তবর্ণ ও আরও কয়েকটি বর্ণ সম্পাদনা

क्ष क्क क्ट क्ल क्त क्म क्ट्र क्त्र क्ब क्य क्र क्ट्र क्ष्न क्ष्म क्ष्म्य क्ष्ब क्स

ख्य ख्र ग्द्ध

ग्न ग्ल ग्ग ग्र

घ्य घ्र

সংস্কৃত বর্ণমালায় দেবনাগরী অক্ষরে অনুস্বার (ং) এর ব্যবহার

कं गं तं पं भं मं लं बं शं सं

সংস্কৃত বর্ণমালায় দেবনাগরী অক্ষরে বিসর্গ (ঃ) এর ব্যবহার

क: ग: त: ध: प: भ: म: ल: स: ह:

সংস্কৃত দেবনাগরী অক্ষরে রেফ্ এর ব্যবহার

र्क र्ग र्घ र्च र्ट र्त र्थ र्द र्प र्श

দেবনাগরী অক্ষরে সংস্কৃত বর্ণমালায় য-ফলা যোগ क्य ग्य च्य ज्य ट्य ढ्य

সংস্কৃত দেবনাগরী অক্ষরে রেফ্ এর ব্যবহার

क्र ग्र घ्र ट्र ण्र त्र द्र ध्र प्र म्र

সংস্কৃত বর্ণমালায় সংযুক্ত বর্ণ গঠনের পদ্ধতি

  • ১. কিছু বর্ণের ডান পাশে দাঁড়ি থাকে । যেমন – ख, ग, घ, च, ज, झ, ण, त, थ, न, प, ब, भ, म, य ইত্যাদি ।
  • ২. কিছু বর্ণের মাঝখানে দাঁড়ি থাকে । যেমন – क, फ ইত্যাদি ।
  • ৩. কিছু উপরে ছোটো বোঁটার মতো দাঁড়ি থাকে । যেমন – ङ, छ, ट, ठ, ड, ढ, द ইত্যাদি ।

সাধারণভাবে সংস্কৃত বর্ণমালায় সংযুক্ত বর্ণ গঠনের সময় र (র) ও न (না) বাদে পরের বর্ণ ঠিক থাকে । অর্থাৎ একই রকম থাকে । কিন্তু আগের বর্ণের কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ।

পরিবর্তন দ্বারা সংস্কৃত বর্ণমালার সংযুক্ত বর্ণ গঠনের পদ্ধতি

  • ১. যে সব বর্ণের ডান পাশে দাঁড়ি থাকে তারা প্রথমে থাকলে, তাদের ডান পাশের দাঁড়ি বাদ যায় এবং পরের বর্ণ ডান পাশে বসে । যেমন – ग + म = ग्म । এখানে লক্ষ্য করুণ ग বর্ণটির ডান পাশের দাঁড়িটি বাদ দেওয়া হয়েছে এবং পরের বর্ণটি তার গান পাশে বসানো হয়েছে ।
  • ২. যে সব বর্ণের মাঝখানে দাঁড়ি আছে তারা প্রথমে থাকলে তাদের গান পাশের একটু অংশ বাদ যায় এবং পরের বর্ণ তার গান পাশে বসে । যেমন – क + म = क्म । এখানে লক্ষ্য করুণ क বর্ণটির ডান পাশের একটু অংশ বাদ দিয়ে পরের বর্ণটি বসানো হয়েছে ।
  • ৩. যে সব বর্ণের উপরে ছোটো বোঁটার মতো দাঁড়ি আছে তারা প্রথমে থাকলে পরের বর্ণ প্রায়ই তাদের নিচে বসে । আবার অনেক সময় প্রথম বর্ণটিতে হস্ (্) চিহ্ন দিয়ে পরের বর্ণটি তার ডান পাশে বসানো হয় । যেমন – ङ + ग = ङ्ग / ङ् ग । এখানে লক্ষ্য করুণ ग বর্ণটি একবার ङ বর্ণটির নিচে বসেছে, আর একবার হস্ (্) চিহ্ন দিয়ে পরের বসানো হয়েছে ।
  • ৪. র বা ন পরে থাকলে এরা ফলা রূপে আগের বর্ণের নিচে বসে । যেমন – क + र = क्र ও प + न = प्न। লক্ষ্য করুণ र / न পরে থাকার কারণে ফলা রূপে নিচে বসেছে ।

কিন্তু র এর উচ্চারণ আগে হলে অর্থাৎ র আগে থাকলে রেফ্ হয়ে পরের বর্ণের মাথায় বসে । যেমন – र + क = र्क । লক্ষ্য করুণ र আগে থাকায় রেফ্ হয়ে পরের বর্ণের মাথায় বসেছে ।

  • ৫. কিছু সংযুক্ত বর্ণের বিশেষ রূপ হয় । যেমন – ह्म ह्ल द्द त्र क्ष
  • ৬. অনেক সংযুক্তবর্ণ উপরে – নীচে বা পাশাপাশি বসিয়ে গঠন করা হয় । যেমন – ञ्ज (ঞ্জ), श्च (শ্চ), श्व (শ্ব) ইত্যাদি ।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

সংস্কৃত বর্ণমালা হতে সকল স্বরবর্ণ, স্বরবর্ণের চিহ্ন ও প্রয়োগ, ব্যঞ্জন বর্ণ, সংযুক্তবর্ণ এবং সংযুক্তবর্ণের বিশেষ নিয়মাবলী