যখন আমি ক্ষুধার্তদের খাওয়াই, তখন তারা আমাকে সাধু বলে ডাকে। কিন্তু যখন আমি জিজ্ঞাসা করি কেনো মানুষ ক্ষুধার্ত, তখন তারা আমাকে সাম্যবাদী বলে ডাকে। উত্থাপিত মুষ্টি
|
ভূমিকা
সাম্যবাদ একটি সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতবাদ যা একটি সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে, যেখানে কোনো সামাজিক শ্রেণি, অর্থ এবং রাষ্ট্র থাকবে না এবং উৎপাদনের মাধ্যমের সাধারণ মালিকানার উপর ভিত্তি করে সমাজ গঠিত হবে।
সাম্যবাদের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন মতবাদের মধ্যে রয়েছে মার্কসবাদী সাম্যবাদ এবং মুক্ত সাম্যবাদ। যদিও এই মতবাদগুলির দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হতে পারে, সবগুলোর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সমালোচনা। সাম্যবাদ অনুযায়ী, সমাজে দুটি শ্রেণি রয়েছে: শ্রমিক শ্রেণি এবং পুঁজিপতি শ্রেণি। শ্রমিক শ্রেণির লোকেরা বেঁচে থাকার জন্য কাজ করতে বাধ্য, আর পুঁজিপতিরা ব্যক্তিগতভাবে সম্পত্তির মালিক এবং শ্রমিকদের শ্রমের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে। সাম্যবাদীদের মতে, সমাজের বেশিরভাগ মানুষই শ্রমিক শ্রেণির, আর পুঁজিপতিরা একটি সংখ্যালঘু শ্রেণি।
শ্রমিক ও পুঁজিপতি শ্রেণির মধ্যে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সংঘাত একটি মৌলিক পরিবর্তন ঘটাবে, যা সমাজে ব্যাপক রূপান্তর আনবে। এই বিশ্লেষণ অনুসারে, উৎপাদনের মাধ্যমের সামাজিক মালিকানা এই রূপান্তরের একটি প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করবে।
|