উইকিশৈশব:সৌরজগৎ/বৃহস্পতি/ক্যালিস্টো
ক্যালিস্টো কত বড়?
সম্পাদনাগ্যানিমেডের পর এটি বৃহস্পতির দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁদ এবং সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম চাঁদ। এটি পৃথিবীর আকারের এক তৃতীয়াংশের একটু বেশি।
এর উপরিতল কেমন?
সম্পাদনাক্যালিস্টোর উপরিভাগ সৌরজগতের অন্যতম গহ্বরময় অঞ্চল। প্রকৃতপক্ষে, এর পৃষ্ঠতলের একমাত্র বৈশিষ্ট্যই হল অভিঘাতের ফলে উৎপন্ন গহ্বরগুলি। ক্যালিস্টোর পৃষ্ঠতল বরফময় হওয়ার কারণে, বড় বড় গহ্বর এবং পাহাড়গুলি ধীরে ধীরে চাপা পড়ে যাচ্ছে। ক্যালিস্টোর ভূত্বকের বয়স প্রায় ৪০ কোটি বছর, সেই সময় সৌরজগতের গঠনে সবে শুরু হয়েছে।
এখানে ভূ -পৃষ্ঠের সবচেয়ে বড় গহ্বর হল ভালহাল্লা। দৈর্ঘ্য প্রস্থ বরাবর এর পরিমাপ ৩০০০ কিমি। দ্বিতীয় বৃহত্তম গহ্বরটি হল আসগার্ড, যেটি ১৬০০ কিমি অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। এখানে একটি সরলরেখা বরাবর গহ্বরের সারি রয়েছে, যার নাম গিপুল ক্যাটেনা। সম্ভবত বৃহস্পতির কাছাকাছি দিয়ে কোন একটি বস্তু যাওয়ার সময় জোয়ারের কারণে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে এই অবস্থাটি ঘটেছিল।
এখানকার বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন নেই। ভূপৃষ্ঠের পাথুরে ভূত্বকের নিচে রয়েছে একটি নোনা ভূগর্ভস্থ সমুদ্র।
ক্যালিস্টোতে দিন কত বড়?
সম্পাদনাক্যালিস্টোতে একদিন পৃথিবীতে প্রায় ১৬.৭ দিনের সমান।
ক্যালিস্টো তথ্য:
১) সৌরজগতের গঠনের সময়কালেই ক্যালিস্টোর ভূত্বক গঠিত হয়েছে।
২) ভূত্বকের নিচে একটি নোনা সমুদ্র থাকতে পারে।
৩) বৃহস্পতির চাঁদগুলির মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম।
বৃহস্পতির চারপাশে এর কক্ষপথ কত দীর্ঘ?
সম্পাদনাবৃহস্পতির চারপাশে একটি কক্ষপথে ঘুরে আসতেও ক্যালিস্টোর সময় লাগে পৃথিবীর ১৬.৭ দিনের সমান।
কার নামে এর নামকরণ করা হয়েছে?
সম্পাদনাক্যালিস্টোর (গ্রিক Καλλιστώ) নামকরণ করা হয়েছে গ্রীক পুরাণের এক পরী কাল্লিস্টোর নামানুসারে, গ্রিক ভাষায় এর অর্থ "সবচেয়ে সুন্দর"। কাল্লিস্টো ছিল জিউসের (বৃহস্পতি) অনেক প্রেমিকাদের মধ্যে একজন।
এটি কিভাবে আবিষ্কার করা হয়েছিল?
সম্পাদনাক্যালিস্টো আবিষ্কার করেছিলেন গ্যালিলিও গ্যালিলেই এবং সাইমন মারিয়াস। ১৬১০ সালের ৭ই জানুয়ারি গ্যালিলিও এটি আবিষ্কার করেন এবং মারিয়াসও প্রায় একই সময়ে এটির খোঁজ পেয়েছিলেন।