উইকিশৈশব:সৌরজগৎ/শনি/মিমাস
মিমাস শনির অন্যতম চাঁদ।
মিমাস কত বড়?
সম্পাদনামিমাস ৩৯৭.২ কিমি (২৪৬ মাইল) প্রশস্ত। এটি ডিমের আকৃতির কারণ শনি এবং অন্যান্য চাঁদগুলি তাদের মাধ্যাকর্ষণ দিয়ে প্রসারিত করে।
এর উপরিভাগ কেমন?
সম্পাদনামিমাসের উপরিভাগ অনেকগুলো গর্তে আবৃত, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে হার্শেল, যার নামকরণ করা হয়েছিল উইলিয়াম হার্শেলের নামে, যিনি মিমাস আবিষ্কার করেছিলেন। এই গর্তটি মিমাসের প্রস্থের প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এটি ৫ কিলোমিটার (৩ মাইল) উঁচু, ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীর, এবং এর শিখরটি গর্তের মেঝে থেকে ৬ কিলোমিটার (৪ মাইল) উপরে। মিমাস এবং রিয়া, শনির আরেকটি উপগ্রহ, যা সৌরজগতে সবচেয়ে বেশী গর্তপূর্ণ উপগ্রহ বলা হয়।০০
মিমাসের অনেকগুলি চশমাটা (চ্যামস) রয়েছে, যা চাঁদের পৃষ্ঠে দীর্ঘ, সরু, কুৎসিত খাড়া-পার্শ্বযুক্ত।
মিমাসে দিনের দীর্ঘতা কত?
সম্পাদনামিমাসের একদিন সমান হচ্ছে ২৩ ঘন্টা।
শনির চারপাশে এর কক্ষপথ কতক্ষণ?
সম্পাদনামিমাস শনির চারপাশের কক্ষপথে ঘুরতে ২৩ ঘন্টা সময় লাগে। এটির রয়েছে সমলয় ঘূর্ণন, যার মানে হল, এটি তার কক্ষপথে সম্পূর্ণ একটি ঘুর্ণন করতে সর্বদা সমনা সময় নেয়। মিমাসের একটিই পাশ সবসময় শনির মুখী হয়ে থাকে।
এটি কিসের তৈরি?
সম্পাদনামিমাস মূলত বরফের তৈরি, কিছু পাথর সহ। শনির অবস্থান সত্ত্বেও মিমাস হিমায়িত কঠিন বলে মনে হয়। অবস্থানের কারণে মিমাসকে শনির উত্তাপে আরও সংবেদনশীল করে তোলা উচিৎ ছিল, যদিও এরই কারণে মিমাসের বরফের কিছুটা গলন হয়।
মিমাসের মহাকর্ষ আমাকে কতটা টানবে?
সম্পাদনাতুমি যদি মিমাসে হতে, তাহলে তার মধ্যাকর্ষন হতো পৃথবীর মধ্যাকর্ষনের ০.০০৮ গুন বেশী।
কার নামে নামকরণ করা হয়েছে?
সম্পাদনাগ্রীক দেবী গাইয়ার পুত্র মিমাসের নামে মিমাসের নামকরণ করা হয়েছে। নামটি উইলিয়াম হার্শেলের ছেলে জন হার্শেল প্রস্তাব করেছিলেন। মিমাসকে শনি-১ ও বলা হয়।
এটি কিভাবে আবিষ্কার করা হয়েছিল?
সম্পাদনা১৭৮৯ সালে উইলিয়াম হার্শেল টেলিস্কোপ ব্যবহার করে মিমাস আবিষ্কার করেছিলেন। এটি ছিল শনির দ্বিতীয় চাঁদ যা হার্শেল আবিষ্কার করেছিলেন