কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান/জ্যোতির্বিজ্ঞান
মহাবিশ্বের সৃষ্টি
মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব
মহাবিশ্বের সৃষ্টি জ্যোতির্পদার্থবিদরা ব্যাখ্যা করেছেন, একটি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ঘটনা যা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব বা Big Bang নামে পরিচিত। এটি কয়েক দশক ধরে জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং জ্যোতির্পদার্থবিদদের দ্বারা সংগ্রহ করা পর্যবেক্ষণমূলক ও অভিজ্ঞতামূলক মানসিক তথ্য দ্বারা সমর্থিত। মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব অনুসারে, সমগ্র মহাবিশ্ব প্রাথমিকভাবে একটি বড় ভর (প্রাথমিক নেবুলা) ছিল। তারপরে একটি মহাবিস্ফোরণ (সেকেন্ডারি সেপারেশন) হয়েছিল যার ফলে গ্যালাক্সিগুলি তৈরি হয়েছিল। এগুলি বিভক্ত হয়ে তারা, গ্রহ, সূর্য, চাঁদ প্রভৃতি তৈরি করে। মহাবিশ্বের উৎপত্তি ভাগ্যক্রমে হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য।
কুরআনে এই সম্পর্কিত তথ্য উল্লেখ রয়েছে:
অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে, আকাশ আর যমীন এক সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে আলাদা করে দিলাম, আর প্রাণসম্পন্ন সব কিছু পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না? [২১:৩০]
কুরআনের এই আয়াতটি ও মহাবিস্ফোরণ তথ্যের মধ্যে যে এক অদ্ভুত সামঞ্জস্য রয়েছে তা অপরিহার্য! ১৪০০ বছর আগে আরবের মরুভূমিতে প্রথম প্রকাশিত একটি বইতে কীভাবে এই গভীর বৈজ্ঞানিক সত্য থাকতে পারে?