সাধারণত বাদক বাঁশিকে তাঁর ডানদিকে অনুভূমিকভাবে কিছুটা আনত করে ধরেন। ডান হাতের তর্জনী, মধ্যমা এবং অনামিকা বাইরের দিকের ছিদ্র তিনটিকে ধরে, আর বাঁ হাতের ওই একই আঙ্গুল বাকি তিনটে ছিদ্রকে ধরে। বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ও কনিষ্ঠা দিয়ে বাঁশির কাঠামোকে ধরে রাখা হয়। ফুঁ দেওয়ার ছিদ্রটি ঠোঁটের কাছে ধরে বিভিন্ন বেগে হাওয়া দিয়ে ঠিক সুর বের করতে হয়। যেই বাঁশিতে একটি অতিরিক্ত সপ্তম ছিদ্র থাকে, সেটাকে ডান হাতের কনিষ্ঠা দিয়ে ধরা হয়।

বাঁশির সুরের তালিকা।

অন্যান্য বায়ুচালিত বাদ্যযন্ত্রের ন্যায়, বাঁশির ফাঁপা নলের ভিতরে থাকা বায়ুস্তম্ভের কম্পনের জন্যই এতে শব্দ সৃষ্টি হয়। উপরের ছিদ্রগুলি বিভিন্নভাবে ছেড়ে বা বন্ধ করে এই বায়ুস্তম্ভের দৈর্ঘ্যের হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়। আবার কোনো ছিদ্রকে অর্ধেক বন্ধ করে কড়ি কিংবা কোমল স্বর তৈরি করা যায়। ফুঁ-দেওয়ার ছিদ্রের দিকের প্রথম তিনটি ছিদ্র বন্ধ রাখলে "সা" (পাশ্চাত্য সংগীতে যার নাম "ডো") সুরটি নির্গত হয়। ঠোঁটে বায়ুর বেগ বদলে মন্দ্র কিংবা তার সপ্তক পৌঁছোনো যায়। ছিদ্রগুলিকে বন্ধ (বা অর্ধেক-বন্ধ) করার জন্য বাদক তাঁর আঙুলের ডগা কিংবা আঙুলের তলা ব্যবহার করতে পারেন।