ইমরান আহামেদ
ছোট গল্প, ০১-
ভীমরতি - ইমরান আহামেদ।
যে হারিয়ে গেলাম কল্পনার জগতে। পড়ছে -গরমের জ্বালায় বাঁচিনা, গাঁয়ে -গেঞ্জি , পুকুর পাড়ে যাই - যদি একটু ঠান্ডা হাওয়া মেলে।
আহ্! কি ঠান্ডা হওয়া। প্রকৃতির নির্মল বায়ু। ভেজাল মুক্ত হাওয়া গায়ে দিয়ে যার দোলনচাঁপা।
চাঁদনী রাত -আশপাশটা অস্পষ্ট ফুটে উঠেছে। পুকুরের পানিতে আশমানের -পূর্ণ চাঁদ টা স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে। আয়নার মতন ফুটে উঠেছে - কি সুন্দর সেই দৃশ্য। আকাশের দিকে চাঁদটাকে দেখতেছি, হঠাৎ করেই কেমন যেন চাঁদ টা - পাল্টে গেল. অপরূপ -নন্দিনী। যার চোখ হরিণীর মতন, তারই কাজলীর - কেশ. রাঙ্গা দুটি ঠোঁট। মুহূর্তে আমি, তার ওপর বস হয়ে গেলাম । তাকে বড্ড ছুইতে ইচ্ছে করলো।- -সেও আমায় ডাকছে - দু হাত বাড়িয়ে- এক পা! দুই পা! তিন পা! -
ধপাস '!
একি আমি পুকুরে পড়ে গেলাম, হারিয়ে গেছিলাম কল্পনার জগতে?
কই সেই কল্পনার সুন্দরী কোথায় গেল তার অপরূপ, তাকে যে -বড্ড ছোয়ার ইচ্ছে ছিল.।
হায় রে! পোড়া কপাল, কোথাও কেউ নেই। শান্ত চারপাশে কোন বাতাস নেই,পলকেই অনুকূলে থাকা আবহাওয়া হয়ে গেল অনুকূল। পুকুরের থেকে উঠেলাম। পুরাগা ভিজে গেছে। এ-হে মা যে কি বলে৷ ভয়ে ভয়ে, বাড়িড় দিকে এগুলাম -
ভেজা গা নিয়ে বাড়িতে গেলাম -
চুপি চুপি - নিজের কাপড় চেঞ্জ করতে লাগলাম, মাকে যে বড্ড ভয় লাগে। কখন দেখে ফেলে --
বাবা! কই রে৷,, মুহূর্তেই -
কিরে - তোর গা ভেজা কে? কিছুক্ষণ আগেই তো গোসল করলি -আর কত করবি বাপু-
তোর কি -*ভীমরতি হলো নাকি ---রে,
-নিশ্চুপ -
হ্যাঁ / না