তুষার কান্তি ষন্নিগ্রহী
লেখক পরিচতি
তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী
জন্ম তারিখ: ১ মার্চ ১৯৫৩। জন্মস্থান: পুটিয়াদহ, বাঁকুড়া।
পিতা: বারিদবরণ ষন্নিগ্রহী, মাতা: সুষমা দেবী।
তুষারকান্তি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করেন মেদিনীপুর কলেজ, প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ অব সায়েন্স (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে। সহ-শিক্ষক হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেন এই সব স্কুলে; কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুল, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ। বাসন্তী হাইস্কুল, বাসন্তী, দক্ষিণ ২৪ পরগণা। রাজবলহাট হাইস্কুল, রাজবলহাট, হুগলি। সিমলাপাল মদনমোহন হাইস্কুল, সিমলাপাল, বাঁকুড়া। লেখক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন দুটি স্কুলে - কমলপুর নেতাজি হাইস্কুল, কমলপুর, বাঁকুড়া এবং ভূতশহর হাইস্কুল, ভূতশহর, বাঁকুড়া। লেখক প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অবসর নেন ২০১৩ সালে। তারপর আরো তিন বছর তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের (বাঁকুড়া জেলা) একাডেমিক সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করেছেন। লেখক পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য। লেখালেখি এবং সাংবাদিকতা করা লেখকের অন্যতম নেশা। তার লেখা প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দশটি। তার সম্পাদিত পত্রিকা পাঁচটি। তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী একজন ভারতীয় উইকিপিডিয়ান। উইকিপিডিয়াতে সম্পাদিত নিবন্ধের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
আমার গর্ব
সম্পাদনালেখক: তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী
পরম পরশ
সম্পাদনাতুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী তাঁর ছাত্রাবস্থায় এবং শিক্ষকতার জীবনে প্রবন্ধ লিখেছেন অনেক। তার মধ্যে বাছাই করা তিরিশটি প্রবন্ধ নিয়ে এই সংকলন। নাম দেওয়া হয়েছে 'পরম পরশ'। শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, শিল্প ইত্যাদি বিষয় সমূহ উদ্ভাসিত হয়েছে প্রবন্ধ গুলিতে। সহৃদয় পাঠকবর্গ এই প্রবন্ধ পাঠে যদি আনন্দ পান তাহলে আমাদের শ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করব।
মদনবাগ, সিমলাপাল, বাঁকুড়া পিন-৭২২১৫১ জানুয়ারি-২০০৯
পরম পরশ (প্রবন্ধ সংকলন)
সূচিপত্র
প্রবন্ধের নাম ।। পৃষ্ঠা সংখ্যা
১) আ-মরি বাংলা ভাষা ১
২) শিক্ষার বিবর্তন ৬
৩) জীবন, মানুষ এবং শিক্ষা ১০
8) প্রকৃতি এবং শিক্ষা ১৩
৫) শিক্ষার উদ্দেশ্য। ১৫
৬) শিক্ষার লক্ষ্য ১৮
৭) শিক্ষার আলো ২০
৮) সর্বশিক্ষা অভিযান ২৫
৯) বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার লোকসংস্কৃতি ২৮
১০) সিমলাপালের লোকসংস্কৃতি ৩৪
১১) লোকউৎসব ভাদু ৪০
১২) বাংলার লোকসাহিত্য। ৪৫
১৩) ছোটগল্প ৪৯
১৪) বই চাই বই ৫২
১৫) আমার বইমেলা ৫৫
১৬) আলোকময় জীবনশৈলী ৫৬
১৭) নেতাজি ও আমরা ৫৯
১৮) চাঁদা মামা ৬০
১৯) বিজ্ঞান বিচিত্রা ৬২
২০) বেগুন মোটেই নির্গুণ নয় ৬৫
২১) প্রাণরসায়নের গোড়ার কথা ৬৬
২২) সয়াবিন কথা ৬৮
২৩) আত্মরক্ষার সূঁচ র্যাফাইড ৬৯
২৪) মানুষের বিপদ এইডস্ ৭০
২৫) ২০০০ খ্রিস্টাব্দে সবার জন্য স্বাস্থ্য ৭৩
২৬) ভিটামিন ও তার প্রয়োজনীয়তা ৭৫
২৭) ডিমের কথা ৭৯
২৮) ধূমপান না স্বাস্থ্য ৮১
২৯) রেশম শিল্পের সেকাল ও একাল ৮৫
৩০) জোয়ার আসুক রেশম ও লাক্ষা
শিল্পে ৮৮
কমলকলি
সম্পাদনাকমলকলি (কবিতা সংকলন): এই কবিতা সংকলনে মোট সাতজন কবির কবিতা আছে। কবিরা হলেন;
১) তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী
২) মীনা ঠাকুর
৩) অজিতকুমার দাশ
৪) মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়
৫) নীলাঞ্জন ষন্নিগ্রহী
৬) শোভনা মিশ্র
৭) মালবিকা পণ্ডা
কমলকলি সম্পাদনা করেছেন তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী
প্রকাশক: কৃষ্টি কিরণ (প্রকাশন বিভাগ),সিমলাপাল, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, পিন- ৭২২১৫১
কমলকলি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয় ২০২২ সালের বাঁকুড়া জেলা বই মেলাতে।
স্বর্ণকুমারী দেবী
সম্পাদনাতুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী
ঊনবিংশ শতাব্দীর সমাজ সচেতনতার ক্ষেত্রে বাংলার বুকে ঠাকুর পরিবারের যে কন্যা অসামান্য অবদান রেখেছেন তিনি স্বর্ণকুমারী। সাহিত্য, রাজনীতি জনকল্যাণ, নারীর শিক্ষা বিস্তার ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাঁর অবদান খুবই উল্লেখযোগ্য। স্বর্ণকুমারী দেবী প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পৌত্রি এবং মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদাদেবীর একাদশতম সন্তান। তাঁর ভাই রবীন্দ্রনাথ স্বর্ণকুমারীর থেকে ছয় বছরের ছোট। উল্লেখ্য রবীন্দ্রনাথ হলেন দেবেন্দ্রনাথ-সারদা দেবীর চর্তুদশতম সন্তান। এঁদের মোট সন্তান ছিল পনের জন। এ ব্যাপারে একটু আলোকপাত করলে সুবিধে হয়।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সারদা দেবীর সন্তানদের তালিকা-
১) প্রথম সন্তান (কন্যা):
শিশু অবস্থাতেই মারা যায়।
২) দ্বিতীয় সন্তান (পুত্র):
দ্বিজেন্দ্র (১৮৪০-১৯২৬)
৩) তৃতীয় সন্তান (পুত্র)
সত্যেন্দ্র (১৮৪২-১৯২৩)
8) চতুর্থ সন্তান (পুত্র) হেমেন্দ্র (১৮৪৪-১৮৮৪)
৫) পঞ্চম সন্তান (পুত্র)
বীরেন্দ্র (১৮৪৫-১৯১৫)
৬) ষষ্ঠ সন্তান (কন্যা)
সৌদামিনী (১৮৪৭-১৯২০)
৭) সপ্তম সন্তান (পুত্র) জ্যোতিরিন্দ্র (১৮৪৯-১৯২৫)
৮) অষ্টম সন্তান (কন্যা) সুকুমারী (১৮৫০-?)
৯) নবম সন্তান (পুত্র)
পূণ্যেন্দ্র (১৮৫১-১৮৮৭)
১০) দশম সন্তান (কন্যা)
শরৎকুমারী (১৮৫৪-১৯২০)
১১) একাদশ সন্তান (কন্যা)
স্বর্ণকুমারী (১৮৫৫-১৯৩২)
১২)দ্বাদশ সন্তান (কন্যা)
বর্ণ কুমারী (১৮৫৮-১৯৪৮)
১৩) ত্রয়োদশ সন্তান (পুত্র)
সোমেন্দ্র (১৮৫৯-১৯২২)
১৪) চতুর্দশ সন্তান (পুত্র)
রবীন্দ্রনাথ (১৮৬১-১৯৪১)
১৫) পঞ্চদশ সন্তান (পুত্র)
বুধেন্দ্র (১৮৬৩-১৮৬৪)
স্বর্ণকুমারীর জন্ম তারিখ ২৮ আগস্ট ১৮৫৫। কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির পরিবেশেই বাড়িতেই তাঁর শিক্ষা শুরু হয়। মাত্র তের বছর বয়সে ১৮৬৮ সালে নদীয়া জেলার জমিদার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জানকীনাথ ঘোষালের সাথে তাঁর বিবাহ হয়। জানকীনাথ বিদেশে ভ্রমণ করার সময় স্বর্ণকুমারী বেশিরভাগ সময় ঠাকুর বাড়িতেই থাকতেন। অবশ্য জানকীনাথ সব সময়ই স্বর্ণকুমারীকে সাহিত্য চর্চা ও সমাজসেবার কাজে উৎসাহ দিতেন। ঠাকুর বাড়ির পরিবেশ এবং জানকীনাথের উৎসাহ স্বর্ণকুমারীকে সমাজ ' সচেতনতার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। কবিতা, সঙ্গীত, নাটক, সাহিত্য ও সমাজ সেবায় স্বর্ণকুমারী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন। তিনি হয়ে ওঠেন ঔপন্যাসিক, বিশিষ্ট কবি, সঙ্গীতকার এবং অন্যতম সমাজ সংস্কারক। সূত্র-কৃষ্টি কিরণ,২০২৩ পৃঃ ৭