মশিউর রহমান হাসিব(হাসিব বাঘা)

মশিউর রহমান হাসিবের জীবন শুরু হয়েছিল বরিশাল বিভাগের মুলাদি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ২০০০ সালের ৭ ডিসেম্বর মুলাদি পৌর এলাকার প্রভাবশালী বাঘা পরিবারের মরহুম মোঃ মুজিবুর রহমান বাঘার ঘরে তার জন্ম হয়। ছোটবেলা থেকেই মেধা ও অধ্যবসায়ের স্বাক্ষর রাখেন তিনি। এই মেধাবী তরুণ তার স্কুল জীবন থেকেই একাগ্রতার সাথে পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলেন। তার সাফল্যের প্রতিটি ধাপই তার নিজ পরিবারের জন্য গর্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষাজীবনের প্রথম ধাপ: সাফল্যের হাতছানি

হাসিব বাঘার শিক্ষাজীবন শুরু হয় সরকারি মাহমুজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ২০১৭ সালে তিনি এই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং অত্যন্ত ভালো ফলাফল অর্জন করেন। তার এই অর্জন শুধু তার পরিবারের নয়, তার এলাকার মানুষের কাছেও গর্বের বিষয় হয়ে ওঠে। তার পরে তিনি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার জন্য ঢাকা শহরের বিখ্যাত মাইলস্টোন কলেজে ভর্তি হন।

এইচএসসি-তে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন:

মাইলস্টোন কলেজে অধ্যয়নকালে মশিউর তার অধ্যবসায় ও দৃঢ়তার মাধ্যমে ২০১৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এই অর্জন তার শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়। তার একাগ্রতা, পরিশ্রম এবং দক্ষতা এই ফলাফলের পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করে। এর ফলে তিনি একজন কৃতী ছাত্র হিসেবে তার এলাকার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ও উচ্চশিক্ষায় নতুন যাত্রা:

এইচএসসি সম্পন্ন করার পর মশিউর তার উচ্চশিক্ষার জন্য মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে তিনি তার জ্ঞানের পরিসর বৃদ্ধি এবং নিজেকে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একনিষ্ঠভাবে অধ্যয়ন করছেন। অর্থনীতি বিষয়ে তার আগ্রহ ও দক্ষতা তাকে ভবিষ্যতে একটি সমৃদ্ধশালী জীবন গড়ার সুযোগ এনে দিতে পারে।

মশিউর রহমান হাসিব সমাজে "হাসিব বাঘা" নামে পরিচিত:একজন উদ্যমী তরুণ পরিশ্রম ছাত্র নেতা এবং শিক্ষার্থী। তার জীবনের লক্ষ্য কেবল নিজের প্রতিষ্ঠা নয়, বরং সমাজ ও দেশের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করা। তার ভালো কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি সমাজের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসিত। ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক সমস্যার সমাধান এবং ছাত্রকল্যাণে অবদান রেখেছেন। তার নেতৃত্বগুণ ও উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি নানান সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন, যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বুদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। হাসিব বাঘা তাঁর রাজনৈতিক সচেতনতা ও মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে দেশের উন্নয়নে কাজ করার জন্য প্রস্তুত, এবং সমাজের যুবসমাজের জন্য একটি আদর্শ হয়ে উঠেছেন। তার এই প্রচেষ্টা তার পরিবার ও এলাকার মানুষের কাছে গর্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে, একসাথে কাজ করলেই দেশ ও সমাজে সত্যিকার পরিবর্তন আনা সম্ভব।

রাজনীতির প্রতি আকর্ষণ:

শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি মশিউর ছাত্র রাজনীতির প্রতিও গভীর আগ্রহ অনুভব করেন। স্কুল জীবন থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের ইতিহাস ও অবদান সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এই ইতিহাস তার মধ্যে দেশের জন্য কিছু করার তাগিদ সৃষ্টি করে। তিনি আশাবাদী যে, তার পড়াশোনা এবং রাজনৈতিক সচেতনতা একত্রে তাকে ভবিষ্যতে দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করার সুযোগ এনে দেবে তিনি মনে করে।

মশিউর রহমান হাসিব: ছাত্র রাজনীতি ও জনসেবার অঙ্গীকার

হাসিব বাঘার জীবন কেবল একাডেমিক সফলতা দিয়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের প্রতি গভীর প্রেম ও দায়িত্ববোধ তাকে ছাত্ররাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট করে। স্কুল জীবন থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। দেশের স্বাধীনতা ও আন্দোলন থেকে শুরু করে নানা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে ছাত্রলীগের বলিষ্ঠ ভূমিকা হাসিব বাঘার মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং তার অন্তরে দেশের জন্য কিছু করার এক সুদৃঢ় ইচ্ছার জন্ম দেয়।

এই ইতিহাস থেকে প্রেরণা নিয়ে মশিউর নিজের শিক্ষাজীবন ও রাজনৈতিক সচেতনতা একত্রে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করতে চান। নিজের বিশ্বাস ও আদর্শের সাথে একাত্ম হয়ে তিনি ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজপথে নেমে আসেন। ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত হয়ে তিনি সমাজের উন্নয়ন এবং ছাত্রসমাজের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তার এই পদক্ষেপ শুধু রাজনৈতিক সচেতনতার ফল নয়, বরং তার দেশপ্রেম ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধের এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত।

এমন আন্তরিকতা ও সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মশিউর ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখার স্বপ্ন দেখছেন, যা তার জীবন ও আদর্শকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলছে। হাসিব বাঘার জীবনযাত্রা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতীক। তার শিক্ষা, অধ্যবসায়, এবং দেশের প্রতি প্রেম তাকে জীবনে আরও সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।