বাংলাদেশ ও ভারতের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্যের অভাবজনিত পুষ্টিহীনতা রয়েছে। হাঁস-মুরগি পালন করলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় তেমনি প্রাণিজ আমিষ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পুষ্টিহীনতা দূর করা যায়। বর্তমান সময়ে দারিদ্র হ্রাস ও কর্ম সংস্থান সৃষ্টিতে হাঁস-মুরগি পালন মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। হাঁস-মুরগি পালন করে অনেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বা হচ্ছেন এ নজির অনেক।

হাঁস-মুরগি পালনের গুরুত্ব সম্পাদনা

  1. মানব দেহের গঠন বিশেষ করে শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে প্রাণিজ আমিষের গুরুত্ব অপরিসীম। হাঁস-মুরগি হতে আমরা স্বল্প খরচে উন্নত মানের প্রাণিজ আমিষ পেয়ে থাকি।
  2. হাঁস-মুরগির বাণিজ্যিক খামার স্থাপনের মাধ্যমে অনেক কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বেকার যুবক-যুবতী, দুস্থ মহিলা, বিধবা, ভূমিহীন জনগণ এসব খামারে কাজ করার মাধ্যমে আয়-উপার্জন করছেন এবং তাদের জীবন যাত্রার মানও বৃদ্ধি পেয়েছে।
  3. হাঁস-মুরগির খামারে উৎপাদিত পণ্যাদি বাজারজাতকরণের সাথে সংশ্লিষ্ট অসংখ্য লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
  4. হাঁস-মুরগির খামারের প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন- খাদ্য, ঔষধ, টিকা, আসবাবপত্র প্রভৃতি বিপণন ব্যবস্থার সাথে বহু লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।