উইকিশৈশব ইউরোপ: এস্তোনিয়া
ইস্তোনিয়া বা এস্তোনিয়া(এস্তোনীয় ভাষায় Eesti এস্তি) উত্তর-পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। সরকারীভাবে এর নাম এস্তোনিয়া প্রজাতন্ত্র (Eesti Vabariik এস্তি ভাবারিক)। এর রাজধানীর নাম তাল্লিন। এস্তোনিয়া দেশটি বাল্টিক সাগরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাল্টিক সমুদ্রবন্দর এবং দেশের বৃহত্তম শহর। ২০০৪ সালের ১লা মে এস্তোনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে এবং একই বছরের ২৯শে মার্চ থেকে দেশটি ন্যাটোজোটভুক্ত।
এস্তোনিয়ার ইতিহাস
সম্পাদনাপ্রথম বিশ্বযুদ্ধের রুশ সাম্রাজ্যের পতন হলে এস্তোনিয়া ১৯১৮ সালের নভেম্বর মাসে নিজেকে স্বাধীন ঘোষণা করে। তার্তুর শান্তিচুক্তিতে রাশিয়া এস্তোনিয়ার স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়।
১৯২০ সালের এস্তোনিয়ার প্রথম সংবিধান গৃহীত হয় এবং এখানে একটি সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এস্তোনিয়া আরও প্রায় ২২ বছর স্বাধীন ছিল। স্বাধীন এস্তোনিয়াতে সব ধর্ম ও সংস্কৃতির লোকদের সমান মর্যাদা ছিল। ১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে মিখাইল গর্বাচফের অধীনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর কড়াকড়ি শিথিল হলে এস্তোনীয়রা স্বাধীকারের উপর সোচ্চার হয়ে ওঠে। ১৯৮৮ সাল নাগাদ হাজার হাজার লোক পূর্বতন জাতীয় গানগুলি গাওয়া শুরু করে। এটি ছিল এস্তোনিয়ার "সঙ্গীত বিপ্লব"।
১৯৮৮ সালের এস্তোনিয়ার সুপ্রীম কোর্ট সার্বভৌমত্বের বিবৃতি পাস করেন। ১৯৯০ সালে এস্তোনিয়া প্রজাতন্ত্র নামটি পুনরায় বহাল করা হয় এবং ১৯৯১ সালের সোভিয়েত ক্যু-র পর এস্তোনিয়া পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত সুপ্রীম কোর্ট স্বাধীন এস্তোনিয়াকে স্বীকৃতি দেয়। কোন রক্ত না ঝরিয়েই এস্তোনিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৯১ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়া জাতিসংঘের সদস্য হয়। এছাড়াও এটি IAEA, ICAO, UNCTAD, WHO, WIPO, UNESCO, ILO, IMF, WB/EBRD এবং OSCE-র সদস্য।
তিন বছর আলোচনার পর ১৯৯৪ সালের ৩১শে আগস্ট রুশ ফেডারেশনের সামরিক বাহিনী এস্তোনিয়া থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।
আরও পড়ুন
সম্পাদনাউইকিশৈশব ইউরোপ • সূচনা • ইইউ • ভূগোল • লোকজন • ভাষা • বিষয় • কুইজ | সম্পাদনা | ||
|