উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/রাসায়নিক মৌল
রাসায়নিক মৌলের তালিকা
সম্পাদনাএই পৃষ্ঠাটিতে সমস্ত মৌলের একটি তালিকা রয়েছে। আপনি আরও তথ্যের জন্য পর্যায় সারণি পৃষ্ঠাটি দেখতে পারেন।
সুপরিচিত মৌল
সম্পাদনাআপনি এই মৌলগুলির নাম শুনেছেন।
সুপরিচিত ধাতু
সম্পাদনা- সোনা (গোল্ড)
- লোহা (আয়রন)
- সিলভার (রূপা)
- তামা (কপার)
- অ্যালুমিনিয়াম
- টাইটানিয়াম
- নিকেল
- প্লাটিনাম
- টিন
- সীসা (লেড)
- পারদ (মারকারি)
- লিথিয়াম
- সোডিয়াম
- পটাসিয়াম
- ক্যালসিয়াম
- কোবাল্ট
- জিংক
- ইউরেনিয়াম
সুপরিচিত অধাতু
সম্পাদনাসমস্ত মৌল
সম্পাদনাধাতু
সম্পাদনাক্ষার ধাতু
সম্পাদনাক্ষার ধাতুগুলি রূপালী রঙের, নরম এবং কম ঘনত্বের ধাতু। তবে রাসায়নিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয়। এই ধাতুগুলি প্রকৃতিতে কখনই বিশুদ্ধ আকারে পাওয়া যায় না। বায়ুর সংস্পর্শে সহজেই বিবর্ণ হয়ে যায়। ধাতুগুলির গলনাঙ্ক এবং ঘনত্ব কম হয়ে থাকে। এগুলি হ্যালোজেন এবং জলের সাথে সহজেই বিক্রিয়া করে।
মৃৎ ক্ষার ধাতু
সম্পাদনামৃৎ ক্ষার ধাতু বা ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতুগুলি দেখতে রূপালী রঙের। এই ধাতুগুলি নরম ও কম ঘনত্বের ধাতু। এগুলি হ্যালোজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। তবে ক্ষার ধাতুগুলির মতো সহজে বিক্রিয়া করে না। বেরিলিয়াম ধাতু ছাড়া বাকি মৃৎ ক্ষার ধাতুগুলি জলের সাথেও বিক্রিয়া করে।
বিরল মৃত্তিকা ধাতু
সম্পাদনাবিরল মৃত্তিকা ধাতুগুলির আরও আধুনিক নাম হলো "অভ্যন্তরীণ অবস্থান্তর ধাতু"। এগুলি রাসায়নিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয় ধাতু। বায়ুর সংস্পর্শে এই ধাতুগুলিতে খুব সহজেই আগুন ধরে যায়। ধাতুগুলি জলের সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরি করে। মৃৎ ক্ষার ধাতুগুলির তুলনায় বিরল মৃত্তিকা ধাতুগুলির গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্ক বেশি। পর্যায় সারণিতে এই ধাতুগুলিকে সাধারণত আলাদাভাবে পর্যায় সারণির নীচের দিকে দুটি সারিতে রাখা হয়। এর কারণ হলো পর্যায় সারণীতে সব আবিষ্কৃত মৌলগুলিকে তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় বসাতে হলে একটি কাগজের টুকরোতে সেটি সক্ষম হবে না। পর্যায় সারণিটি অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে।
- ল্যান্থানাম (এটিকে একটি অবস্থান্তর ধাতু হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।)
- সেরিয়াম
- প্রাসিওডিমিয়াম
- নিওডিমিয়াম
- প্রমিথিয়াম
- সামেরিয়াম
- ইউরোপিয়াম
- গ্যাডোলিনিয়াম
- টারবিয়াম
- ডিসপ্রোসিয়াম
- হলমিয়াম
- এরবিয়াম
- থুলিয়াম
- ইটারবিয়াম
- লুটেটিয়াম
- অ্যাক্টিনিয়াম (এটিকে একটি অবস্থান্তর ধাতু হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।)
- থোরিয়াম
- প্রোটেক্টিনিয়াম
- ইউরেনিয়াম
- নেপচুনিয়াম
- প্লুটোনিয়াম
- অ্যামেরিসিয়াম
- কুরিয়াম
- বার্কেলিয়াম
- ক্যালিফোর্নিয়াম
- আইনস্টাইনিয়াম
- ফার্মিয়াম
- মেন্ডেলেভিয়াম
- নোবেলিয়াম
- লরেনসিয়াম
অবস্থান্তর ধাতু
সম্পাদনাঅবস্থান্তর ধাতুগুলির স্থান পর্যায় সারণির মাঝখানে। কেউ কেউ জিঙ্ক, ক্যাডমিয়াম এবং পারদকে অবস্থান্তর ধাতুর তালিকায় ধরে না। এই তিনটি ধাতুর নিজেদের ভিতর যথেষ্ট মিল রয়েছে। তাই পর্যায় সারণির ডানদিকে এই তিনটি ধাতুর স্থান। কারণ এই তিনটি ধাতুর চেয়ে বাকি অবস্থান্তর ধাতুগুলির রাসায়নিক ধর্মের একে অপরের সাথে বেশি মিল রয়েছে। তবুও, সারণীতে থাকা অন্যান্য শ্রেণীর মৌলগুলির তুলনায় অবস্থান্তর ধাতুগুলির মধ্যে কম মিল রয়েছে।
- স্ক্যান্ডিয়াম
- টাইটানিয়াম
- ভ্যানাডিয়াম
- ক্রোমিয়াম
- ম্যাঙ্গানিজ
- লোহা (আয়রন)
- কোবাল্ট
- নিকেল
- তামা (কপার)
- জিংক (দস্তা) (কেউ কেউ এটিকে অবস্থান্তর ধাতু হিসাবে গণনা করে না।)
- ইট্রিয়াম
- জারকোনিয়াম
- নিওবিয়াম
- মলিবডেনাম
- টেকনিসিয়াম
- রুথেনিয়াম
- রোডিয়াম
- প্যালাডিয়াম
- সিলভার (রূপা)
- ক্যাডমিয়াম (কেউ কেউ এটিকে অবস্থান্তর ধাতু হিসাবে গণনা করে না।)
- ল্যান্থানাম (এটিকে একটি বিরল মৃত্তিকা ধাতু হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।)
- হ্যাফনিয়াম
- ট্যানটালাম
- টাংস্টেন
- রেনিয়াম
- অসমিয়াম
- ইরিডিয়াম
- প্লাটিনাম
- সোনা (গোল্ড)
- পারদ (মারকারি) (কেউ কেউ এটিকে অবস্থান্তর ধাতু হিসাবে গণনা করে না।)
- অ্যাক্টিনিয়াম (এটিকে একটি বিরল মৃত্তিকা ধাতু হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।)
- রাদারফোর্ডিয়াম
- ডুবনিয়াম
- সিবোর্গিয়াম
- বোহরিয়াম
- হ্যাসিয়াম
- কোপার্নিসিয়াম
অন্যান্য ধাতু
সম্পাদনা- অ্যালুমিনিয়াম
- গ্যালিয়াম
- ইন্ডিয়াম
- টিন
- থ্যালিয়াম
- সীসা (লেড)
- বিসমাথ
ধাতুকল্প
সম্পাদনাএই মৌলগুলির মধ্যে ধাতু এবং অধাতু উভয়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
- বোরন
- সিলিকন
- জার্মেনিয়াম
- আর্সেনিক
- অ্যান্টিমনি
- টেলুরিয়াম
- পোলোনিয়াম
অধাতু
সম্পাদনানিষ্ক্রিয় গ্যাস
সম্পাদনাসাধারণ তাপমাত্রা এবং চাপে, এই মৌলগুলি সবই গন্ধহীন, বর্ণহীন গ্যাস। মৌলগুলির রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা তুলনামূলকভাবে কঠিন।
হ্যালোজেন
সম্পাদনাহ্যালোজেনগুলি রাসায়নিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয়, তাই বেশি মাত্রায় এগুলি জীবদেহের জন্য ক্ষতিকারক বা প্রাণঘাতী হতে পারে। এগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি জীবাণুনাশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য অধাতু
সম্পাদনা- হাইড্রোজেনন
- কার্বন
- নাইট্রোজেন
- অক্সিজেন
- ফসফরাস
- সালফার (গন্ধক)
- সেলেনিয়াম
নতুন আবিষ্কৃত মৌল
সম্পাদনাকিছু নতুন মৌল সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে, এদের মধ্যে কিছু মৌল খুব বেশি তেজস্ক্রিয়। নতুন আবিষ্কৃত মৌলগুলি কোন ধরনের বিজ্ঞানীরা তা নিরন্তর জানার চেষ্টা করছেন। এই কারণে, নতুন আবিষ্কৃত মৌলগুলির পর্যায় সারণীতে স্থান শুধুমাত্র অস্থায়ী। বিজ্ঞানীরা তাদের সম্পর্কে আরও জানতে পারলে মৌলগুলির পর্যায় সারণীতে স্থান পরিবর্তন হতে পারে।
- ডার্মস্ট্যাডটিয়াম
- রোন্টজেনিয়াম
- কোপার্নিসিয়াম
- আননট্রিয়াম
- ফ্লেরভিয়াম
- আনআনপেন্টিয়াম
- লিভারমোরিয়াম
- আনআনসেপ্টিয়াম
- ওগানেশন